Thursday, July 16, 2009

রোবাব রোসান এবং ওয়ান টপ আর্কিওলিজস্ট : বালস্য বাল

তার মতো কত শত বালস্য বাল, হরিদাস পাল
পৃথিবীর প্রগাঢ় প্রস্রাবের ফেনায় ভেসে গেছে!

আমরা যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে উয়ারী-বটেশ্বরে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে অংশ নিয়েছি নিউ এজের সাংবাদিক রোবাব রোসান আমাদেরকে বলেছেন অযোগ্য, অনভিজ্ঞ, নবিস, শিক্ষার্থী। তার কথার সমর্থনে তিনি আবার এক বালস্য বাল টপ আর্কিওলজিস্টের বালের তলে আশ্রয় নিয়েছেন। কে এই বালস্য বাল? রোবাব রোসান তার নাম বলার সাহস পাননি। কিন্তু ওই প্রতিবেদনে যাদেরকে বিশেষজ্ঞ বলে অভিহিত করা হয়েছে তারা হলেন ড. এনামুল হক, ড. মোজাম্মেল হক, ড. কামরুল আহসান এবং একজন বালস্য বাল "টপ আর্কিওলজিস্ট"। প্রত্নতাত্ত্বিক খনন নিয়ে এই বিশেষজ্ঞদের কথা বলার অধিকার আছে কিনা এই বিষয়টি বহু বছর ধরেই প্রশ্নের সম্মুখীন। কারণ এদের কারোরই প্রত্নতাত্ত্বিক খননের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ভাবা হয় এমন কয়েকজনের প্রত্নতাত্ত্বিক খননের অভিজ্ঞতা নিচের ছকে দেখাচ্ছি। শেষে আমার অভিজ্ঞতাটাও যুক্ত করছি (যদিও আমি কোনো বিশেষজ্ঞ নই)।

বিশেষজ্ঞের নাম---------------------খননের অভিজ্ঞতা
ড. এনামুল হক------------------------------০
ড. মোজাম্মেল হক --------------------------১
ড. একেএম শাহনাওয়াজ---------------------০
ড. আব্দুল মমিন চৌধুরী-----------------------০
ড. কামরুল আহসান--------------------------১
ড. এম আর খান (ফিজু)----------------------০
ড. মোস্তাফিজুর রহমান (লাল)-----------------১২
ড. অসিত বরণ পাল--------------------------০
ড. আইয়ুব খান------------------------------০
স্বাধীন সেন----------------------------------২
বুলবুল আহমেদ-------------------------------০
মাসুদ ইমরান মান্নু-----------------------------২
জয়ন্ত সিংহ রায়-------------------------------০
মালিহা নার্গিস---------------------------------০
রূপালি আক্তার--------------------------------০
সীমা পাওয়ানকার------------------------------০
এবং
সোহেইল জাফর (বিশেষজ্ঞ নই)-----------------৫
(এই তালিকায় সামান্য ভুলত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করা হবে)

আমার প্রত্নতাত্ত্বিক খননের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার মতো ব্যক্তি বাংলাদেশে একজনই আছেন, তিনি ড. মোস্তাফিজুর রহমান লাল। কোনো বালস্য বাল টপ আর্কিওলজিস্ট বা সাংবাদিকের নাই। ওই বালস্য বাল টপ আর্কিওলজিস্ট তো সিভিলাউজেশনের সংজ্ঞাই জানে না! তার মন্তব্য শুনুন, "কয়েকটি প্রাগৈতিহাসিক পাথর পেলেই তাকে সভ্যতা বলা যায় না"। আরে চুদির ভাই, প্রাগৈতিহাসিক পাথর পেলে তাকে সভ্যতা বলে তোর কোন্ বাপ? প্রাগৈতিহাসিক পাথর তো প্রস্তর যুগের হাতিয়ার রে! ওইটা তো সভ্যতার সময় না। সভ্যতা তো আসলো আরো কয়েক হাজার বছর পর। এই সাধারণ তথ্যটাই জানিস না, আবার টপ আর্কিওলজিস্ট হয়ে গেলি।

আর যে সাংবাদিক তাকে টপ আর্কিওলজিস্ট বানালো তার জ্ঞানের বহর দেখুন। প্রতিবেদনের ভূমিকায় উনি লিখছেন- উয়ারী-বটেশ্বরের সময় ৪৫০ বিসি, এটা হরপ্পা-মহেঞ্জোদারোর সমসাময়িক। আরে ব্যাটা হরপ্পা-মহেঞ্জোদারোর সময়কাল ২৭০০ বিসি, এটা ধ্বংসই হয়ে যায় ১৭০০ বিসি-তে, তো কীভাবে উয়ারী-বটেশ্বর হরপ্পার সমসাময়িক হলো?

তোর মতো কত শত বালস্য বাল, হরিদাস পাল
পৃথিবীর প্রগাঢ় প্রস্রাবের ফেনায় ভেসে গেছে!

বি.দ্র. ২৭ এপ্রিল ২০০৭ দৈনিক নিউ এজে রোবাব রোসানের একটি প্রতিবেদন বিষয়ে এটা প্রথম প্রতিক্রিয়া।

কৃতজ্ঞতা- কবি জোর্তিময় নন্দীর কবিতাটা আবারো ব্যবহার করলাম, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

No comments:

Post a Comment