Thursday, July 16, 2009

জামাল ভাস্করের নাফ নদী দর্শন, আমেরিকার কনডম ব্যবসা এবং কনডমের ভেতরকার শক্ত বস্তুটির মাজেজা

আসল কথা হইলো- ট্যাক কার কাছে? ট্যাক আমার কাছে থাকলে আমিই বস, আপনার কাছে থাকলে আপনে। এবং এই সত্যটা প্রমোট করাই আমেরিকার (এবং ইহুদিবাদীদের) প্রধান লক্ষ্য বলে আমার কাছে মনে হয়। কিন্তু এর সাথে সাথে বলা দরকার, ট্যাক-এর জোরই সবসময় সবাইরে টিকাইয়া না-ও রাখতে পারে। বহু ট্যাকলু ইতিহাসে কানতাছে। কনডম কিছু না, কনডমের পিছনে যেইটা থাকে- ওইটার জোর যে কনডম কোম্পানীর মালিকের চেয়ে কনডম-পরা কারখানার শ্রমিকের বেশি থাকতে পারে, এইটাও প্রমোট করা দরকার।

এতো কথার হেতু রয়েছে জামাল ভাস্করের নাফ নদী দেখতে যাওয়ার শানেনজুলের মধ্যে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী প্রমাণ করার জন্য জামাল ভাস্করকে প্রচুর কষ্ট করতে হয়েছে। বহুত হাইপোথিসিসও নাকি খাড়া করতে হয়েছে। (অথচ রিফুজি সবসময়েই ভালনারেবল, এর জন্য হাইপোথিসিসের কোনো দরকার নেই; আমেরিকায় যেসব রিফুজি ক্যাম্প আছে (যেমন কিউবান) ওখানকার জনগোষ্ঠীকে তো ওরা ভালনারেবল-ই বলে। আর জামাল ভাস্কর বললেই যতো সমস্যা!)

এবং এইসবের লক্ষ্য রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে এইডসের হাত থেকে বাঁচানো! এইডস বলে আদৌ কোনো জীবনঘাতী রোগ আছে কিনা, এই নিয়েই বিতর্ক* আছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি বিতর্ক এই অসুখকে নিয়ে ব্যবসা করা নিয়ে। জামাত কায়দায় মানুষের দুর্বল জায়গা নিয়ে ব্যবসা করতে আমেরিকা (এবং ইহুদিবাদ) তো সবসময়ই সক্রিয়। এখানেই ইউএনএফপিএ কিংবা মার্কিন কংগ্রেসের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা একেকজন কনডম কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার- আর আমাদের নাকি এইডস! সুতরাং লাগাও বাজি।

হাজার হাজার আফ্রিকান যখন শেল-ইউনিক্যাল আর নানা ইঙ্গ-মার্কিন কোম্পানির আগ্রাসনে না খেয়ে মরছিলো, তখন আমেরিকা আর ব্রিটেন আবিষ্কার করলো- "না! না খেয়ে মরছে না তারা, মরছে এইডসে!" এইডস যদি এতোই ঘাতক হতো, তবে আমেরিকানরা মারা যেতো সবচেয়ে বেশি। যতই অসচেতন বলা হোক না কেন, আফ্রিকার মুসলিম এবং এথনিক জনগোষ্ঠীর যৌনতাবোধ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যে কোনো তথাকথিত সভ্যদেশের চেয়ে বেশি নিরাপদ। বরং মাত্র ৫%** কনডম ইউজারের দেশ আমেরিকায় কেন এইডস-এ মৃত মানুষের সংখ্যা এতো কম, সেই প্রশ্ন নিদ্বির্ধায় তোলা যায়।

আসল কথা আগেই বলে ফেলেছি! শেষে আবার বলি, কনডম যতো ইলেকট্রিক শক-দেওয়াই হোক, টানলে যতোই লম্বা হোক, যতো হার্ড বা হার্ডকোর হোক- আসল কাম কিন্তু করে কনডমের পিছনেরটা। যতোই তারে আটকাইয়া রাখা হোক, যতোই ঢেকেঢুকে রাখা হোক, যতই বলা হোক- আমেরিকা-ইউএন-কনডম কোম্পানীর ট্যাকের জোর বেশি, কার্যক্ষেত্রে সবসময় তা না-ও হতে পারে। অন্তত ইতিহাস থেকে আমরা সেই শিক্ষাই পাই।


*এইডস সম্পর্কে যত কথা বলা হয়, যতো লোক মারা যাওয়ার তথ্য দেওয়া হয়, সেই তথ্যের সত্যতা নিয়ে ব্যাপক বিরোধ আছে। এই বিষয়ে আগামীতে একটা পোস্ট দিবো।

**এই হার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে কনডম-প্রচারণার আগের বর্তমানে এই হার ১৮%।

No comments:

Post a Comment