যে কহে বিস্তর, সে কহে বিস্তর মিছা। তাই সকলেরই থামা ঊচিত। বিশেষ করে বেশি শ্রান্ত হয়ে গেলে। মুসা সাহেব থামছেন না। আজকের প্রথম আলো-তেও লিখেছেন। বলা বাহুল্য, অতিকথনের সমস্যায় আক্রান্ত হয়েই। একটি লাইন উদ্ধৃত করি, 'আমি আনু মুহাম্মদ অথবা গ্যাস-তেল আহরণ নিয়ে বিতর্কে সরকারের ইজারা প্রদান সিদ্ধান্তের পক্ষে।' সুবিধাবাদিতা কতো চরম মাত্রায় পৌঁছালে সংবাদপত্রে কলাম লিখে নিজের এই অবস্থান সংবাদপত্রে কলাম লিখে প্রকাশ করা যায়, এটি তার একটি নমুনা। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ হরতাল ডেকেছে তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটি, এর বিরোধিতা করে আজকেই একটি সংবাদ সম্মেলন করলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ। সেখানে তিনি স্পষ্টভাবেই বলেছেন, তেল-গ্যাস রপ্তানী বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা আগের অবস্থানেই আছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ আগে যেভাবে তেল-গ্যাস রপ্তানীর বিরোধিতা করেছে, এখনো সেভাবেই বিরোধী (বাস্তবতা যদিও ভিন্ন কথা বলে)। এবং স্মরণ করুন সেইসব দিনের কথা যখন মুসা গং পত্রিকায় কলাম লিখে বিএনপি-র তেল-গ্যাস ইজারা ও রপ্তানী নীতির বিরোধিতা করেছিলেন। আর এখন সরকার পরিবর্তনের পর তিনি লিখছেন, যদি সব্জি রপ্তানী করা নিয়ে কোনো আন্দোলন না হয়, তা হলে গ্যাস রপ্তানী নিয়ে এতো আন্দোলন কেন? সরকার বদল হলে চান্দি গরম হয় জানি, কিন্তু তাই বলে সব্জি এবং গ্যাস-কে একই রকম দেখার মতো গরম হয়, সেটা ভাবিনি।
তাই বলছি, মুসা সাহেব এবার থামেন; একটু দম নেন।
No comments:
Post a Comment