আমার ফেসবুকের এই অ্যালবামে জাদুকাটার কয়েকটা ছবি আছে, তবে বৃষ্টির কারণে এবং ব্যাটারিতে চার্জ না থাকার কারণে বেশি ছবি তুলতে পারিনি।
নাওযাত্রা-৩
সকাল হলো বাথরুমের তাড়ায়, নৌকাটিতেই সারলাম। নাস্তা হলো না ক্ষুধা নেই বলে, গোসল করলাম মধ্যনগর থানায় (মানে পুলিশস্টেশনে)। ছবি তুললাম, একটা মাথাল কিনলাম। পার্থরা স্কুলে সমাবেশ করলো, স্কুল প্রাঙ্গনে হাজার হাজার গাছের ভেতর বৃক্ষরোপন করলো। নাটক শুরু হলো নৌকা চলতে শুরু করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই।
নৌকায় লাগানো ব্যানারের বাঁশের খুঁটির সাথে ইলেকট্রিক তারের ছোঁয়া লেগে তড়িৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি ছেলে নদীতে পড়ে গেল। আমরা ছিলাম পাশের নৌকাতেই। আমাদের নৌকানেতা জাহাঙ্গীর ভাই বাঁশ, বাঁশ বলে চেঁচাতে লাগলেন, আমি আর বিশ্ব বাঁশ খুঁজতে লাগলাম। আর আমাদের তিন উন্নয়নজীবী (ফারহাত, মর্তুজা এবং স্বপন) এবং তাদের ভাড়ায় আনা ক্যামেরাম্যান সুমন খুললেন তাদের ক্যামেরাগুলো। সবাইকে হতাশ করে, বাঁশের সাহায্য ছাড়াই ছেলেটি সাঁতরে নৌকায় উঠে এলো।
নাটকের দ্বিতীয় অংক শুরু হলো বৃষ্টি শুরু হবার পর। বৃষ্টি শুরু হলে স্বভাবতই আমি সদ্য কেনা মাথাল বের করলাম বৃষ্টি থেকে বাঁচতে। ৫ সেকেন্ড বড়জোর ৬ সেকেন্ড হবে। তার বেশি এক ন্যানো সেকেন্ড-ও না। আমার মাথা থেকে মাথাল উধাও। চলে গেছে মর্তুজার হাত ঘুরে ফারহাতের মাথায়। শুরু হলো বাংলা সিনেমার বৃষ্টিভেজা নৃত্য- আমি এটা পড়ে ছবি তুলবো, আমি এটা পড়ে ছবি তুলবো। এক নায়িকা দুই নায়ক। একজন মাথায় পড়িয়ে দিলেন (যেন মাল্যদান করলেন), অন্যজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকার রেলিংয়ে ব্যাঙঝোলা হয়ে নায়িকার ছবি তুললেন।
ও, বলতে ভুলে গেছি, প্রতি নৌকাতেই তিনটি করে লাইফ জ্যাকেট দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছেলেটি নদীতে পড়ে যাওয়ার দৃশ্য মঞ্চস্থ হওয়ার পরপরই নায়ক-নায়িকারা কস্টিউম বদলের সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়লেন।
বাদশাগঞ্জ বাজার। সেলবরষ ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারি খাদ্যগুদামের চত্বরেই অবশ্য আমাদের অবস্থান। এখানে একটা নৌকায় হাটের ছবি তুললাম। মানে নৌকা নৌকাতেই হাট বাজার। নৌকাতেই দোকান, খদ্দের-ও আসেন নৌকা করেই।
ধর্মপাশা বাজার। এখানে লোকজন অনেক দেখা গেল। কয়েকটা কামারের দোকানে কাজের ছবি তুললাম।
রাতে নৌকাতেই থাকলাম, কিঞ্চিৎ অমৃতপানের পর নাসিকা গর্জন।
(চলছে)
No comments:
Post a Comment