উয়ারী সভ্যতার নির্মাতা কারা?
সোহেইল জাফর
মানুষের মননের, মনীষার, মঞ্জুষার মুক্তির মানে মানবের মহাজীবনের মুক্তি। আর এই মুক্তচেতনা যতই আধ্যাত্মিক মনে হোক না কেন, মানুষ তার বস্তুগত প্রয়োজন মেটাতেই বার বার এই মহাজীবনের দিকেই ফিরে এসেছে। মানুষের ইহজাগতিক প্রয়োজনেই মানুষ চায় ভবিষ্যতকে নিশ্চিত করতে। অনিশ্চয়তার আশঙ্কা এবং অপ্রাপ্তির সম্ভাবনা মানুষকে যে অনাকাঙ্খিত বিপদের দিকে ঠেলে দেয়, সেই অভিজ্ঞতা অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য মানুষকে বার বার তাগাদা দেয়।
উয়ারী-বটেশ্বর বাংলার মানুষের সমৃদ্ধ অতীত অভিজ্ঞতার উজ্জ্বল অধ্যায়সমূহের অন্যতম। ঢাকা থেকে ৭০ কিমি উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ব্রহ্মপুত্র নদীতীরবর্তী গ্রাম উয়ারী। সুফি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত সাম্প্রতিক প্রত্নতাত্ত্বিক খননে এখানে আবিষ্কৃত হয়েছে খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতকে বিকশিত একটি সমৃদ্ধ নগর-সভ্যতা। সর্বমোট ৪৮ টি জায়গাকে এই নগর-সভ্যতার বিস্তৃতি বলে চিহ্নিত করা হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র একটি স্থানে বৈজ্ঞানিক প্রত্নতাত্ত্বিক খনন পরিচালিত হয়েছে। সেই স্থানটি হলো উয়ারী, এই জায়গাটিকেই অবশ্য এই নগর-সভ্যতার কেন্দ্রবা রাজধানী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। একটি বসতিস্থানকে নগরকেন্দ্র বা রাজধানী বলার জন্য যে বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হয় তার সবক’টিই এখানে পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রথমত, নদীতীরবর্তী উয়ারী অঞ্চলটি ছিল একটি বাণিজ্যকেন্দ্র, এর পাশ দিয়ে প্রবহমান ব্রহ্মপুত্র নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হয়ে সুদূর রোমান সাম্রাজ্য পর্যন্ত ব্যবসা-বাণিজ্য চলতো। উয়ারীর ভূ-প্রাকৃতিক বিন্যাস এবং উয়ারীতে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রত্ননিদর্শন বাণিজ্য-কেন্দ্র হিসেবে উয়ারীর সম্ভাবনাকে নিশ্চিত করে। দ্বিতীয়ত, উয়ারীর উন্নত নগর-পরিকল্পনা সমসাময়িক অন্যান্য নগর-সভ্যতার সাথে তুলনীয়। প্রশস্ত রাজপথ, বাইলেন, বৃহদাকার স্নানাগার (?), জলাধার, সুবৃহৎ এসেম্বলী গ্রাউন্ড ইত্যাদি সমসাময়িক গ্রীক ও রোমান সভ্যতার সাথে তুলনীয়। তৃতীয়ত, কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থার প্রতীক রূপে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণে রৌপ্যমুদ্রা স্থানটিকে প্রাক-নাগরিক জনপদ ও পরবর্তীকালের নাগরিক সভ্যতার সুস্পষ্ট প্রমাণ। এটি একটি কেন্দ্রীয় মুদ্রা-ব্যবস্থা ও শাসনতন্ত্রেরও ইঙ্গিত বহন করে। প্রায় প্রতিটি মুদ্রায় সূর্যপ্রতীক থাকায় মনে হয়, এই অঞ্চলে সূর্যবাদ বা সূর্যকেন্দ্রিক দর্শন প্রতিষ্ঠিত ছিল। চতুর্থত, উয়ারীতে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণে এবং খুবই উন্নতমানের লৌহ, মূল্যবান পাথর, মৃন্ময় (মাটি) এবং কাঁচের জিনিসপত্র এই অঞ্চলে এই চারটি শিল্পের উৎকর্ষের প্রমাণ বহন করে। পঞ্চমত, বিপুল পরিমাণে বিশ্বাস-প্রতীক (তাবিজ), কিছু বিশ্বাস-পাত্র (ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত), বিশ্বাস-স্থাপত্য (ধর্মীয় স্থাপনা) এই অঞ্চলের মানুষের চিন্তা ও দর্শনের বিকাশের ইঙ্গিত বহন করে।
এমন একটি সমৃদ্ধ নগর-সভ্যতা কারা নির্মাণ করলো? উয়ারী সভ্যতার নির্মাতা কারা? জটিল এই প্রশ্নের অনুসন্ধান কয়েক বছরে সমাধান হবে বলে মনে হয় না। বর্তমান লেখক এ বিষয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন। আপাতত আমরা এ বিষয়ে সম্ভাবনা সম্পর্কে আলোচনা করবো। তবে সবার আগে উয়ারী সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য আমাদের জানা প্রয়োজন।
উয়ারী প্রত্নস্থানটি প্রথম সুধী-সমাজের গোচরে আনেন স্থানীয় স্কুল শিক জনাব হানীফ পাঠান, ১৯৩৩ সালে সাপ্তাহিক মোহাম্মদী পত্রিকায় নরসিংদীতে ছাপাঙ্কিত রৌপ্যমুদ্রা প্রাপ্তি শিরোনামে একটি লেখার মাধ্যমে। পরবর্তীকালে তাঁর পুত্র স্কুল শিক জনাব হাবিবুল্লা পাঠান স্থানটির গুরুত্ব তুলে ধরে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেন। এদেশের ইতিহাসবেত্তা, ঐতিহ্য-অনুরাগী মানুষদেরকে এখানে নিজ খরচে আসা-যাওয়া ও স্থানটি দেখার ব্যবস্থা করেন। ১৯৮৯ সালে এই প্রত্নস্থান নিয়ে তিনি একটি বই লেখেন।
১৯৩৩ সালে হানীফ পাঠানের আহ্বানের প্রায় ৭০ বছর পর ২০০০ সালে সুফি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন শুরু করা হয়। এরপর থেকে ২০০৭ পর্যন্ত মোট ৬ দফা এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন চলে।
উয়ারী সভ্যতার মানুষদের একটি পরিচয় পাই তাদের ব্যবহার্য বিশ্বাস-প্রতীকের (তাবিজ) মাধ্যমে। এই প্রতীকগুলো হলো পাথর ও কাঁচের তৈরি এক ধরনের পুঁতি। সাধারণ গোল গোল পুঁতির মতো মনে করলে এই প্রতীক-সমূহ সম্পর্কে ভুল মূল্যায়ন করা হবে। বিভিন্ন তাবিজ বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। নানা জ্যামিতিক আকার এবং উদ্ভিজ্জ ও প্রাণীজ নানা প্রতিকৃতি অবশ্যই অর্থবহ। প্রতীকগুলো কৃষি-অর্থনীতি নির্ভর এবং গ্রামীণ মূল থেকে বিকশিত নাগরিক সভ্যতার পরিচয় বহন করে। লাঙ্গল, লাঙ্গল বা তীরের ফলা, খড়গ, হাতকুঠার, নেকড়ে, ঘটদেবী, হৃদয়, দাঁত, চোখ ইত্যাদি অবশ্যই বিশেষ কোনো দর্শন-চিন্তার ফল। যেমন, কুঠার দ্বারা শত্রু ধ্বংস, কচ্ছপ দ্বারা দীর্ঘ জীবন, হাতি দ্বারা সার্বভৌমত্ব বোঝায়। উয়ারীতে প্রাপ্ত বিশ্বাস-প্রতীকসমূহ কৃষি-সম্ভূত প্রকৃতিপ্রেমী এক জাতিসত্তার পরিচয়বাহী। এখানে প্রাসঙ্গিকক্রমে বলে রাখা যায়, পাথর ও কাঁচ নির্মিত এই তাবিজগুলো খুবই উন্নত প্রযুক্তিতে নির্মিত হয়েছে। পাথর কাটা বা কাঁচ তৈরি একটি জটিল কাজ, তদুপরি এগুলোকে রঙিন করা ও নির্দিষ্ট আকৃতি দেয়া উন্নত কারিগরি জ্ঞানের পরিচয় দেয়। বিপুল পরিমাণে এই ধরনের নিদর্শন প্রাপ্তি একটি দক্ষ কারিগর শ্রেণীর অস্তিত্বের জানান দেয়।
একই কথা প্রযোজ্য উয়ারীতে প্রাপ্ত লৌহ (ও অন্যান্য ধাতব) এবং মৃৎশিল্প সম্পর্কেও। দক্ষ কারিগর শ্রেণী ছাড়া এই ধরনের চমৎকার ও নিপুণ উপকরণ তৈরি করা সম্ভব হতো না। বিশেষ করে উয়ারীতে প্রাপ্ত বিপুল সংখ্যক লৌহনির্মিত হাতকুঠার একটি প্রশ্নের জন্ম দেয়। এই হাতকুঠারগুলোতে কোনো হাতল নেই, ফলে ঠিক কী করে এই হাতকুঠারগুলো ব্যবহার করা হতো অথবা আদৌ তা কুঠার হিসেবে ব্যবহৃত হতো কিনা তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
উয়ারীতে প্রাপ্ত প্রাণীজ ভাস্কর্য-সমূহের মধ্যে নেকড়ে ও ঘোড়া দুটি খুবই কৌতুহলোদ্দীপক। দুটি ভাস্কর্যই উদ্ধত। এই অঞ্চলের মানুষ কি বেপরোয়া অথবা অসীম সাহসী ছিল অথবা বেপরোয়া বা হতে চাইতো?
উয়ারীতে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ রৌপ্যমুদ্রা এই সভ্যতার পরিচয় বিশ্লেষণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে। প্রথমত, সবগুলো (প্রায়) মুদ্রায় একটি সাধারণ প্রতীক হলো সূর্য। সারা পৃথিবীতেই মানুষের আদিম উপাস্য সূর্য। পরবর্তীতে সূর্যের রূপান্তর ঘটেছে নানা আকার ও নিরাকার দেবতার মাধ্যমে। মুদ্রায় প্রাপ্ত অন্যান্য প্রতীকগুলোর মধ্যে রয়েছে ময়ূর, পাখি, চিংড়ি, মাছ, নৌকা, গাছ, বৃশ্চিক, গরু, হাতি ইত্যাদি। নৌকার যে বৈচিত্র্য ও বৃহদাকার পাল, হাল ও মাঝির চিত্র তাতে মনে হয়, এই নৌকাগুলো বাণিজ্যতরী হিসেবে ব্যবহৃত হতো। অর্থাৎ একটি সওদাগরী বণিক শ্রেণীও উয়ারীতে ছিল।
উয়ারীতে প্রাপ্ত নবড্ ওয়্যার ও স্টাম্পড্ ওয়্যার ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতীক। প্রাথমিক বৌদ্ধ ধর্ম কিংবা তান্ত্রিক বৌদ্ধ ধর্মের রীতি-আচারের সাথে এর সম্পর্ক ছিল বলে ধারণা করা হয়। পরবর্তীযুগে ঢাকা ও পাশ্ববর্তী অঞ্চলটি ছিল তান্ত্রিক বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান কেন্দ্র। তার সূচনা হিসেবে তন্ত্রচর্চার ইতিহাস খ্রিস্টপূর্ব ৫ শতক পর্যন্ত বিস্তৃত হলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। উয়ারীতে প্রাপ্ত কয়েকটি কুণ্ড বৌদ্ধ তান্ত্রিকদের উপস্থিতির এই অনুমানকে আরো জোরালো করে। বিশেষ করে আমরা যখন একই ধরনের কুণ্ডের উপস্থিতি এবং তার কার্য-ব্যবহার দেখতে পাই উজ্জয়িনী ও চন্দ্রকেতুগড়ে, যেগুলো বৌদ্ধ তান্ত্রিকদের কাছে পবিত্র ও গুহ্য (গুপ্ত) বলে গণ্য হতো।
প্রায় ৬০০ মিটার বাই ৬০০ মিটার বিস্তৃত এই নগরীতে সাম্প্রতিক প্রত্নতাত্ত্বিক খননে প্রায় ২০০মিটার দৈর্ঘ্য ও প্রায় ৬ মিটার প্রস্থ ও ২৩-৩১ সেমি পুরুত্ব বিশিষ্ট প্রাচীন রাস্তা উন্মোচিত হয়েছে। সম্প্রতি উন্মোচিত রাস্তার দক্ষিণ দিকে একটি ২.১ মিটার প্রশস্ত পার্শ্ব-রাস্তা পাওয়া গেছে। এই পার্শ্ব-রাস্তাটি সম্ভবত কোনো ভবনের দিকে এগিয়ে গেছে, যে ভবনটির অংশবিশেষ চলমান খননে উন্মোচিত হয়েছে। এই রাস্তা, সংলগ্ন স্থাপনা, কুণ্ড ইত্যাদি উয়ারী-সভ্যতার অধিবাসীদের উন্নত নগর-পরিকল্পনার পরিচয় বহন করে। এগুলো বিশ্বের প্রাচীন নগর-সভ্যতাসমূহের সঙ্গে উয়ারীর নগর-পরিকল্পনার সাদৃশ্যের প্রমাণ বহন করে। এতে বোঝা যায়, নগর পরিকল্পনাবিদ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ও রাজমিস্ত্রী শ্রেণীর অস্তিত্বও উয়ারীতে ছিল।
উয়ারী প্রত্নস্থানের দুর্গপ্রাচীর, পরিখা, অসম রাজার গড় ও পরিখা এবং এ অঞ্চলে প্রাপ্ত প্রচুর পরিমাণে লৌহ-নির্মিত হস্ত-কুঠার (?), বল্লম, পোড়ামাটির নিপেণাস্ত্র, উয়ারীর শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রমাণ দেয়, যা এই অঞ্চলে কোন পরাক্রমশালী জাতির বসবাসের সাক্ষ্য বহন করে। আবিষ্কৃত রাস্তাটির দুর্গপ্রাচীর অংশে এই সব যুদ্ধাস্ত্রের প্রাপ্তি দেখে মনে হয়, কখনও কখনও দুর্গে প্রবেশোন্মুখ বর্হিশত্রুর আক্রমণ ঠেকানোর কাজেও এর ব্যবহার হয়েছিল। অর্থাৎ যুদ্ধ করার জন্য একদল সৈন্য বাহিনীও হয়তো এখানে ছিল। হাবিবুল্লা পাঠান মনে করেন, গ্রিক বীর আলেকজান্ডার গঙ্গা নদীর পূর্ব তীরে যে পরাক্রমশালী গঙ্গরিডি জাতির বসবাসের কথা শুনেছেন তার অবস্থান ছিল আজকের উয়ারী।
কিন্তু এই কারিগরশ্রেণী, বণিক সম্প্রদায়, সৈনিকদল, শাসকবর্গ এবং বিশ্বাসী মানুষের জাতিগত পরিচয় কি? হাবিবুল্লা পাঠান মনে করেন, গঙ্গারিডি শব্দটিতেই এর সমাধান রয়েছে। তিনি গঙ্গারিডিকে লিখতে পছন্দ করেন গঙ্গাঋডি। এর মানে হলো গঙ্গা=গাঙ বা নদী, ঋ=ঋষি এবং ডি=ডোয়াই সম্প্রদায়। ঋষি ও ডোয়াই নামক দুটি সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব বাংলাদেশে এখনও আছে। তবে এরাই উয়ারী সভ্যতার নির্মাতা কিনা তা গবেষণার দাবি রাখে।
কিংবা উয়ারী নামটিই বা কতো প্রাচীন? মান্দি (বর্তমানে বিলুপ্ত (?) একটি জাতি, সাধারণভাবে অনেকে গারোদেরকেই মান্দি বলে থাকেন) ভাষায় শব্দটির মানে স্থলবেষ্টিত জলাভূমি, উয়ারীর ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে যা মিলে যায়। তবে কি মান্দিরাই উয়ারী সভ্যতার নির্মাতা? টলেমির বিবরণীতে কিন্তু এই অঞ্চলে মান্দাই জাতিগোষ্ঠীর অস্তিত্বের কথাও রয়েছে। প্রাচীন বাংলায় শব্দটির মানে দুয়োর বা দেউরি বা রাজবাড়ি (পরনে পাটের শাড়ি, চলিল উয়ারি- দ্বিজ বংশীদাস)। উয়ারীর নগর সভ্যতার কেন্দ্রকে ভিন্নার্থে দেউরি বলাই যায়। তবে কি প্রাকৃতভাষী-রাই উয়ারীর নির্মাতা? নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও আসেনি, তবে একটি সমৃদ্ধ সভ্যতার গর্বিত উত্তরাধিকারী রূপে আমরা আমাদের মননের, মনীষার, মঞ্জুষার মুক্তির মাধ্যমে সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য আরো আশাবাদী হয়ে উঠতেই পারি।
সোহেইল জাফর
?= নিশ্চিত নয় (বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারি উৎখননে প্রাপ্ত নিদর্শন সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি বলে)
বি দ্র: এই লেখাটি ২২ মার্চ ২০০৭ দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। আংশিক পরিবর্তন করে তা এই ব্লগে দেওয়া হলো।
No comments:
Post a Comment