Sunday, November 15, 2009

নাওযাত্রা-২

টেকেরহাটের কয়লাশ্রমিক; ছবি: বিশ্বজিৎ দাস

১২ জুলাই ২০০৮
নাওযাত্রার দ্বিতীয় দিন

এক.
পরিকল্পনা মতো সময়ে শুরু করা যায়নি। নাস্তা খেতে পারেননি অনেকেই (নাস্তার স্বল্পতা)।
দুই.
টেকেরহাট বড়ছড়া বাজারে প্রমিত বাংলায় একটি সমাবেশ করা হলো, আয়োজকেরা ছাড়া উপস্থিতি বড়জোর ২০, উকিঁঝুকিঁ-জিজ্ঞাসা আরো ১৫-২০ জন। বক্তব্য স্থানীয় মানুষের বিরোধী, স্থানীয় শ্রমজীবী মানুষের প্রধান কাজ ছড়া (ঝর্ণা) থেকে কয়লা আহরন, আয়োজকরা মনে করে, এই কাজ অবৈজ্ঞানিক ও মানবেতর। স্থানীয় একজন শ্রমজীবী নারী বললেন, "তুমরার এই কতার লাগিই তো বিডিআর আমরারে দৌড়ায়"।
তিন.
দুপুরের খাবার আগের মতোই দেরিতে এবং অর্ধসিদ্ধ। কেউ কেউ বললেন, আয়োজকরা চাচ্ছেন- কিছু কিছু নাওযাত্রী বিদেয় হোক। এটিএন বাংলার সাংবাদিক ভাই বরাবরের মতো খাদ্যস্বল্পতায় ক্ষুব্ধ।
চার.
আজকেও ব্যাপক ফটোসেশন চললো। ও বলতে ভুলে গেছি, বড়ছড়ায় ফারহাত বললেন, খাসিয়া রাজার ছেলেও তার ভাই, ভাস্তেও তার ভাই। রাজকীয় তৈলমর্দন আর কাকে বলে?
পাঁচ.
সাড়ে দশটার দিকে নৌকা এল মধ্যনগর, কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখলাম তিনজনের মালপত্র আর চারজন লোক উধাও। (অ্যাকশনএইডের ফারহাত, ইনসা (বাউপ)-এর মর্তুজা, রুট-এর স্বপন)। তারা তিনজন থাকবেন চেয়ারম্যানের বাংলোতে। খাবারের ছবি না তোলার ঝাড়ি সুমন সম্ভবত দ্রুত ভুলবে না, আপার ঘুমানোর (?) ছবি তোলার জন্য খোলা ক্যামেরা হাতে সেও দৌড় দিল তাদের তিনজনের পিছু পিছু।
ছয়.
রাতে খেলাম বরিশাল হোটেলে, আগের দেড়দিনের তুলনায় অমৃত।
সাত.
তারপর সত্যিই অমৃত খেলাম, রেড লেবেল। নৌকার সামনে নদীর পাড়ে বসে রাত (অথবা সকাল) ছয়টা পর্যন্ত তর্কাতর্কি (অথবা মাতলামি) চললো। রাতটা ভালই কাটলো।
(চলছে)

No comments:

Post a Comment