Sunday, November 15, 2009

Autobiography- Eight (ইংরেজিতে এখনো অনূদিত হয়নি, দ্রুতই অনূদিত হয়ে বিশ্বকাব্যভাণ্ডার সমৃদ্ধ করবে)

গৌরচন্দ্রিকা:
হোজ্জার কাছে এক ভদ্রমহিলা আসলেন একটা চিঠি লিখে দেওয়ার অনুরোধ করতে, কারণ তার মেয়ে দূরের গ্রামে থাকে। হোজ্জা বললেন, আমার এখন পায়ে ব্যথা, আমি চিঠি লিখতে পারবো না। মহিলা অবাক হয়ে বললেন, আপনি কি পা দিয়ে লেখেন? হোজ্জা বললেন- চিঠির পাঠোদ্ধার করার জন্য তোমার মেয়ের গ্রামে আমাকে তো পায়ে হেটেই যেতে হবে তাই না?

কবিতার পাঠোদ্ধার আসলে হায়ারোগ্লিফিক্স-এর পাঠোদ্ধারের চেয়ে জটিল। কাব্য-সমালোচকরা যদি কবিতার পাঠোদ্ধারের বদলে সিন্ধুলিপি অথবা উয়ারিলিপির পাঠোদ্ধারের চেষ্টা করতেন তবে ইতিহাস-সংস্কৃতি কিঞ্চিৎ উপকৃত হতো বলে আমার বিশ্বাস। সুতরাং নিচের কবিতাটি পাঠোদ্ধারের চেষ্টা না করেই পড়ুন।

মূল কবিতা:
কার্ল মাক্স বলেছিলেন, এক সময় উৎপাদন ব্যবস্থা এতো উন্নতি করবে যে মানুষকে আর কোনো কাজ করতে হবে না। যন্ত্রই করবে সব, মানুষের অন্তহীন অবসর।

আমি সেই দিনটির অপেক্ষা করছি।

যখন পাখিরা ঘরে ফিরলো কি ফিরলো না
নদীর জীবনে বাকি রইলো কোন্ লেনদেন

এইসব জটিল সরল-অংক করতে হবে না আমাকে।

আদার ব্যাপারির মতো এড়িয়ে যাবো দিশেহারা জাহাজীর সবুজ ঘাসের দ্বীপ দেখার উচ্ছ্বাস।

অন্ধকার নামুক অথবা অন্ধত্ব-
মুখোমুখি তোমার- গন্ধ নেওয়ার
থেকে বেশি কিছু করবো না আর।

সারমর্ম:
কোনো কাজ করতে ভালো লাগে না। (এই অসুস্থতার অজুহাত যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো, তুমি বলোতো?)

সংবিধিবদ্ধ সর্তকর্তা:
কার্ল মার্ক্সের অন্তহীন অবসরের ভ্রান্ত ধারণাটি নিয়ে কাব্য রচনা করলেও ভুলেও ভাববেন না, তার অন্য সব ভ্রান্ত ধারণাও আমি গ্রহণ করেছি।

সংযোজন ১: সুচৌ-র কবিতার পাঠোদ্ধারের জন্য সুচৌ-এর কাছে আপনারা বঙ্গীয় শব্দকোষ ক্রয়ের নিমিত্তে টঙ্ক কামনা করতে পারেন।

সংযোজন ২: এই সিরিজের পূর্ব ৭টি কাব্য ইংরেজি ভাষায় রচিত হয়েছে, এই কাব্যটিও অচিরেই স্বর্গীয় বর্ণমালায় পরিণতিলাভ করবে। বঙ্গীয় ভাষার মতো একটি পক্ষীভাষা কাব্যসুষমা ধারণের পক্ষে কস্মিন উপযোগী নহে।

No comments:

Post a Comment